বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ অপরাহ্ন
সাইফুল্লাহ নাসির,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদ পুনঃ নির্বাচনে নির্বাচন পরিচালনায় প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি গাজী মোঃ গোলাম ফারুক আমতলী রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন।সমিতির সভাপতি গাজী গোলাম ফারুক লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমতলী উপজেলা পরিষদ পুনঃ নির্বাচন আগামী ১৬ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে পরিচালনার জন্য প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার পদে শিক্ষকদের নিয়োগ দিবেন উপজেলা নির্বাচন অফিস। কিন্তু সেটা না করে বিধি বহিঃভুত ভাবে পূর্বচিলা রহমানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম ফরিদসহ অন্য তিন জন শিক্ষক উপজেলা নির্বাচন অফিসারের যোগ সাজসে অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে বাদ দিয়ে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রিজাইডিং ও পুলিং অফিসার নিয়োগ দেন। শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম ফরিদ বিগত বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি আমতলী উপজেলা শাখার নির্বাচনে হেরে গিয়ে প্রতিহিংসা বশতঃ তার প্রদিদ্বন্দি প্রার্থী ও তাদের সমর্থক অন্যান্য বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিয়ে চিলা রহমানিয়া ১১ জন, চিলা এইচবি ১৫ জন, উত্তর সোনাখালী ১৫ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষককে নিয়োগ দেন। অপরদিকে ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তক্তাবুনিয়া মাধ্যমিক, হালিমা খাতুন ও কালিবাড়ী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে একজন শিক্ষককেও প্রিজাইডিং ও পুলিং অফিসার পদে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এছাড়া আমতলী পৌরসভার উদয়ন মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের পাঠদানের অনুমতি না থাকলেও তাদের বিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষককে প্রিজাইডিং ও পুলিং অফিসার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ সেলিম রেজা বলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রিজাইডিং ও পুলিং অফিসার নিয়োগে কোন অনিময় করা হয়নি। অনেক শিক্ষকরা অভিযোগ করলে কিছু শিক্ষকদের নির্বাচন পরিচালনায় সংযুক্ত করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি আমতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, নীলগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশারেফ হোসেন, আড়পাংগাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, সহকারি প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বাবুল ও সহকারি শিক্ষক হারুন অর রশিদ। আমতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ সেলিম রেজা বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় কোন অনিময় করা হয়নি। অনেক শিক্ষক অভিযোগ করলে কিছু শিক্ষকদের এ কার্যক্রমে সংযুক্ত করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন অফিসার দীলিপ কুমার বলেন, এমততো হওয়ার কথা না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।